- আয়কর রিটার্ন কি ?
- আয়কর রিটার্ন কেথায় পাওয়া যায়?।
- আয়কর রিটার্ন কোথায় জমা দিব ?
- সময় মত আয়কর রিটার্ন্ দাখিল না করলে কি হয় ?
- ই-টিআইএন ফরম কোথায় পাওয়ো যায় ?
- টিআইএন সনদ নিতে কিকি কাগজ পত্র জমা দিতে হয় ?
- টিআইএন সনদ পেতে টাকা লাগে কিনা ?
- টিআইএন সনদ পেতে কতদিন সময় লাগে
- অবসরে যাওয়ার পরে পেনশন ছাড়া অন্য কোন আয় না থাকা সত্ত্বে ও কি প্রতি বছর রিটার্ন দাখিল করতে হবে ?
- যে সাকেলে আয়কর নথি খোলা হয় সারা জীবন কি সেই সার্কেলে রিটার্ন্ দাখিল করতে হয় ? নাকি বদলী জনিত কারণে বদলীকতৃ কর্মস্থলের জন্য ধার্য্যকৃত সার্কেলে রিটার্ন্ দাখিল করা সম্ভব ?
- রিটান পূরণের সময় স্ত্রীর আয়ের উপর স্বামীকে আয়কর প্রদান করতে হবে কি না ?
- স্বামী এবং স্ত্রীর উভয়ের আয়কর নথি থাকলে সংসার খরচ কার রিটার্নে প্রদর্শণ করতে হবে ?
- পূর্ববর্তী বছরে সাধারণ পদ্বতিতে কর নির্ধারণ হয়ে থাকলে পরবর্তী বছরের সর্বজনীন স্ব-নির্ধা্রণী পদ্ধতি রিটার্ন দাখিল করা সম্ভব কি না ?
- নিধারিত সময়ের মধ্যে যদি আয়কর রিটার্ন দাখিল করা সম্ভব না হয় তাহলে পরবর্তীতে কি সার্বজনীন স্ব-নির্ধা্রণী পদ্ধতিতে রিটার্ন্ দাখিল করা সম্ভব ?
- সার্বজনীন স্ব-নিধারনী পদ্ধতিতে রিটার্ন্ দাখিল করলে যে সনদ দেয়া হয় তার পরেও কি সার্টিফিকেট নেওয়ার পয়োজন আছে। ?
- আমার আয়ের উপর সঠিক ভাবে আয়কর হিসাব করা হল কিনা কিভাবে বুঝব ?
- সার্ব্জনীন স্ব-নির্ধা্রণী পদ্ধতিতে দাখিলকৃত রিটার্নে ভুলভ্রান্তি ধরা পড়লে সংশোধিত রিটার্ন দেয়া যাবে কিনা ?
- আমার বিগত ৫ বছর আগে একটা আয় ছিল তখন টি আই এন না থাকায় রিটার্ন্ দাখিল করা হয়নি। এখন আমি টি আই এন নিয়েছি এবং রিটার্ন্ দাখিল করেছি। কিন্ত আমার প্রশ্ন হল ৫ বছর আগের রিটার্ন্ দাখিল করতে পারব কিনা ?
- কোন কারনে যদি বেতন থেকে উৎসে আয়কর কর্তন প্রদেয় আয়করের বেশি থাকে তাহলে নে টাকা কি ফেরৎ পাওয়া যায়?
- টিআইএন ধারিী বিদেশ থাকলে তার পক্ষে কেউ রিটার্ন দাখিল করতে পারবে কিনা ?
- সম্পদ বিবরণী মিলানের উপায় কি ?
- বিনিয়োগ রেয়াত বাদে যদি কারে আয়কর ৫,০০০/- টাকার নিচে আসে তবেও কি ৫,০০০/- আয়কর দিতে হবে?
আয়কর কর্তৃপক্ষের নিকট বাৎসরিক আয়ের সংক্ষিপ্ত বিবরণ উপস্থাপন করার মাধ্যম হচ্ছে আযকর রিটার্ন। আয়কর রিটানের কাঠামে আয়কর বিধি দ্বারা নির্দিষ্ট করা আছে। আয়কর আইন অনুযায়ী জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কতৃর্ক নির্ধারিত ফরমে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হয়।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের web page: www.nbr.gov.bd থেকে রিটার্ন ফ্রি download করা যায়। তাছাাড়া আয়কর অফিস থেকে ও বিনামূল্যে এটি সংগ্রহ করা যায়। রিটার্ন ফরমের ফটোকপি ও গ্রহণযোগ্য।
প্রত্যেক শ্রেণীর করদাতার রিটার্ন দাখিলের জন্য আয়কর সাকেল নিধারণ করা আছে। সকল বেসামরিক সরকারী কর্মকর্তা/কর্মচারী ও পেনশনভূক্ত কর্মকর্তা/কর্মচারীর নাম শুরু হয়েছে তাঁদের কে নির্দিষ্ট অঞ্চলের নির্দিষ্ট সার্কেলে রিটার্ন্ জমা দিতে হবে। পুরানো করদাতারা তাঁদের বর্তমান সার্কেলে রিটার্ন্ জমা দিবেন। নতুন করদাতারা তাঁদের নাম, চাকুরীস্থল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ঠিকানার ভিত্তিতে নির্ধারিত সার্কেলে ১২ সংখ্যার ই-টিআইএন উল্লেখ করে আয়কর রিটার্ন্ দাখিল করতে পারবেন। করদাতারা প্রয়োজনে কাছাকাছি আয়কর অফিস বা কর পরামর্শ কেন্দ্র থেকে আয়র রিটার্ন্ দাখিল করার সার্কেল সম্পকেৃ জানতে পারবেন। প্রতি বছর দেশের বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত আয়কর মেলায় করদাতাগণ আয়কর রিটার্ন্ দাখিল করতে পারেন। রিটার্ন্ দাখিলের সময় করদাতা বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশী দূতাবাসেও রিটার্ন্ দাখিল করতে পারেন।
সময় মত রিটার্ন দাখিল না করলে জরিমানা করারা বিধান আছে । এ ক্ষেত্রে উপ কর কমিশনার সর্বশেষ কর নির্ধারণে প্রদেয় করের ১০% পর্যন্ত এককালীন জরিমানা করতে পারেন। তবে এককালীন এ জরিমানার পরিমান ১,০০০/- টাকার কম হবে না। এ ছাড়া ও আয়কর রিটার্ন দাখিলের নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পরবর্তী প্রতিদিনের ব্যর্থতার জন্য ৫০/- টাকা হারেও জরিমানা করারা বিধান রয়েছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ওয়েব সাইট থেকে টিআইএন ফরম ডাউন লোড করা যায়। সার্কেল অফিস থেকে বিনামূল্যে এটি সংগ্রহ করা যায়। টিআইএন ফরম এর ফটোকপি গ্রহণ যোগ্য
টিআইএন পেতে বাংলাদেশী নাগরিকগণের জাতীয় পরিচয় পত্র/পাসপোর্টে্র ফটোকপি প্রয়োজন হয়
টিআইএন গ্রহনের সময় যে ১,০০০/- টাকার বিধান ছিল তা বাতিল করা হয়েছে। অথ্যার্ৎ্ টিআইএন এর জন্য আলাদা কোন ফি নাই।
অনলাইনে সকল তথ্য প্রদানের মাধ্যমে সাথেসাথে ইটিআইএন সনদ পাওয়া যায়।
কোন আয় থাকুক না থাকুক প্রত্যেক টিআইএন ধারীর ক্ষেত্রে যেহেতু রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা রয়েছে তাই করযোগ্য আয় না থাকা সত্তেও রিটার্ন দাখিল করতে হবে। কোন কর যোগ্য আয় না থাকলে বা নির্ধারিত কর মুক্ত আয় সীমা অতিক্রম না করলে কোন আয়কর প্রদান করতে হবেনা।
সাধারণত যে সার্কেলে আয়কর নথি রয়েছে সেই সার্কেলে আয়কর রিটার্ন দাখিল করা ভাল। তবে বদলীকৃত কর্মস্থলের অধিক্ষেত্র অনুযায়ী রিটার্ন দাখিল করতে হবে।। পুরোনো সার্কেলে চিঠি লিখে আয়কর নথিটি বদলী করাতে হবে
স্ত্রীর নামে যদি আলাদা আয়কর নথি না থাকে এবং স্ত্রীর আয়ের উৎস যদি স্বামীর টাকাতে হয়ে থাকে তাহলে স্বামীর হাতেই স্ত্রীর আয় কর যোগ্য।
যেকোন একটি নথিতে বা উভয়ের নথিতে অর্ধেক করে পারিবারিক খরচ দেখানো যেতে পারে।
রিটান ২ পদ্ধতিতে দাখিল করা সম্ভব এক বছরে সাধারণ পদ্ধতিতে দাখিল করলে ও পরবর্তীতে বছরে স্ব-নির্ধা্রণী পদ্ধতিতে দাখিল করা সম্ভব।
নিধারিত সময়ের মধ্যে উপ কর কমিশনারের কাছ থেকে সময়ের আবেদন করে সময় নেয়া থাকলে বর্ধিত সময়ের মধ্যে সার্বজনীন স্ব-নিধারনী পদ্ধতিতে রিটার্ন দাখিল করা সম্ভব
সার্বজনীন স্বনিধারনী পদ্ধতিতে যে রশিদ দেয়া হয় সেটি কে সার্টিফিকেট হিসেব গন্য করা হয়। সুতরাং আলাদা সার্টিফিকেট নেয়ার প্রয়োজন নাই
প্রতি বছর অর্থ আইনে আয়করের যে হার দেয়া থাকে সে অনুযায়ী আয়করের পরিমান বের করতে হয়। এ ছাড়াও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের website থেকে "Tax Calculator" নামে একটি software দেয়া আছে। এটি ব্যবহার করে ও আয়করের পরিমান সঠিক হল কিনা নিশ্চিত হতে পারবেন।
সার্ব্জনীন স্ব-নির্ধা্রণী পদ্ধতিতে রিটার্ন দাখিল করলে যে রশিদ দেয়া হয় সেটি কর নির্ধারণী আদেশ হিসেবে গণ্য হয় বিধায় এ ক্ষেত্রে সংশোধিত রিটার্ন দাখিলের সু্যোগ নাই।
রিটার্ন্ পূর্বে দাখিল করা না হলে পরবর্তীতে যে কোন সময় দাখিল করা যায়।
প্রদেয় করের চেয়ে উৎসে কর্তিত কর বেশি হলে যে ফেরৎযোগ্য কর সৃষ্টি হয় তা পরবর্তী বছর/বছর সমূহে সমন্বয় করা যায়।
বিদেশে অবস্থান কালে বাংলাদেশী দূতাবাসে আয়কর রিটান দাখিল করা সম্ভব। এ ছাড়া করদাতার স্বাক্ষরকৃত আয়কর রিটার্ন এ দেশে যে কেউ তার পক্ষে দাখিল করিতে পারিবেন।
সম্পদ বিবরনীর ফরমটি এমন ভাবে তৈরী করা হয়েছে যাতে করে সম্পদ পরিবৃদ্ধি যোগ্য আয় , করমুক্ত আয় এবং অন্যান্য পাপ্তি দ্ধারা সম্বয় করে মিলানো হয়েছে।। সম্পদের পরিবৃদ্ধি যদি আয় দ্ভারা সমন্বয় না হয় তাহলে বৃদ্ধি প্রাপ্ত সম্পদ কে আয় হিসাবে পরিগণনার সুযোগ আছে।
হ্যাঁ। আয়করের সর্বনিম্ন ধাপ অতিক্রম করলেই ৫,০০০/- টাকা কর পরিশোধ করতে হবে। অথ্যার্ৎ বিনিয়োগ রেয়াত বাদে যদি কারো ৫,০০০/- নিচে আসে তবু ও ৫,০০০/- টাকা আয়কর দিতে হবে। উল্লেখ্য যে, ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটিকর্পো্রেশন এলাকার জন্য সর্বনিম্ন আয়কর ৫,০০০/- দেশের অন্যান্য সিটিকর্পো্রেশন এলাকার সর্বনিম্ন আয়কর ৪,০০০/- এবং দেশের অন্যান্য এলাকার জন্য সর্বনিম্ন আয়কর ৩,০০০/- ধার্য্য করা হয়েছে।